প্রয়াস” যুক্তরাজ্যে প্রবাসী ভারতীয়দের একটি সংগঠন যাদের শিকড়
বাংলায়। আমাদের লক্ষ্য
যুক্তরাজ্যে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচার ও সংরক্ষণ করা এবং তা ব্রিটিশ ভারতীয়দের পরবর্তী
প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
আমাদের প্রয়াস হল অন্যান্য সমস্ত ভারতীয় প্রবাসী যারা আমাদের সাথে হাত মেলাতে চায় তাদের নিয়ে
পথ চলা।
আমরা এই বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে আমাদের যাত্রা শুরু করেছি সরস্বতী পূজো দিয়ে । ভারতীয়রা সারা বছর
নানা উৎসবে
মেতে থাকে।দুর্গোৎসব বা শারদোৎসব তাদের মধ্যে শ্রেষ্ট।প্রতিবছর আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষে এই
উৎসব পালিত হয়।আমাদের
সারা বছরের প্রতিক্ষা শেষ হয় মহালয়ার দিন মহিষাসুরমর্দিনী শুনে। সরস্বতী পূজোর পর ,এই বছর আমরা
শক্তির দেবী, মা
দুর্গার আরাধণা করবো ২০শে অক্টোবর - ২২ শে
অক্টোবর (শুক্রবার - রবিবার) স্ট্যানওয়েল ভিলেজ হল - ১৩ হাই স্ট্রিট, স্ট্যানওয়েল, স্টেইনস
আপন টেমস এ। আমাদের পুজো শুরু বোধন দিয়ে। তারপর কলা বউ স্নান, পুষ্পাঞ্জলি , সন্ধি পুজো, আরতি
এবং দশমী তে দধিকর্মা , সিঁদুরখেলা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর ঢাকের তালে ধুনুচি নাচ। সঙ্গে থাকছে
খাওয়া দাওয়া, হইচই, কেনাকাটা করার সুযোগ।
দেবী দুর্গার আরাধণা মুখের কথা নয় তাও প্রবাসে বসে ।সকল ব্যস্থতার মধ্যে সময় বার করে সবাই মিলে
শুরু করলাম আলাপ আলোচনা।এত কম সময়ে ঠাকুর আনানো, হল ভাড়া করা, পুরোহিত মশাই খোঁজা আরো কত কি।
প্রয়াস পরিবারের অদম্য উৎসাহে ও অক্লান্ত পরিশ্রমে সবটা ধীরে ধীরে রূপ নিতে শুরু করলো।সামাজিক
মাধ্যমে প্রচারের সুবাদে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন।এক ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপ হলো যিনি
আমাদের একটা সুন্দর এক চালার ঠাকুর দিয়ে সাহায্য করলেন। মাতো আসছেন, কিন্তু পুরোহিত? শুরু হল
খোঁজ, যারা আছেন এখানে সবাই কোন না কোন পুজোর সঙ্গে যুক্ত । ঠিক এইসময় রাজা গাঙ্গুলির সাথে আলাপ
হল, কথা প্রসঙ্গে জানা গেল তিনি মেক্সিকোতে পুজো করেছেন। আমাদের আর পায় কে হাতে চাঁদ পেলাম
ওনাকে প্রস্তাব দিতে তিনিও রাজী হয়ে গেলেন।
দেশের দুর্গা পুজোর অন্যতম আকর্ষণ পুজোর গান, বিভিন্ন শারদীয়া পত্রিকা,আর পাড়ায় পাড়ায়
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।আমরা যারা প্রবাসে থাকি তারা সব সময় চেষ্টা করি যাতে দেশের মজাটা বিদেশের
মাটিতে বসে পাওয়া যায়।এই পুজোর আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের একটা মজা মেমবারদের গানের লড়াই।
তার সাথে থাকছে অন্তাক্ষরী, পুজোর কুইজ আর নাচ।ছোটোরাও কিন্তু পিছিয়ে নেই। কেউ পিয়ানো বাজাবে তো
কেউ ভায়োলিন।তাদের আবদার এই বার তারা স্টল দেবে আর সেইখান থেকে উপার্জিত অর্থ হবে তাদের
কান্ট্রিবিউশন।
খাওয়াদাওয়া ছাড়া কি আর পুজো হয়।তাই রোজ থাকছে ফুড স্টল । সেখানে চাট, কচুরি, মাছের চপ, ফিশ
ফ্রাই থেকে পোলাও, বিরিয়ানী সবই পাওয়া যাবে।
পূজোর মূলধন বলতে আমাদের সদস্যপদ,কিছু স্পন্সরশিপ আর কিছু উপকরণকারীর দান। মায়ের ইচ্ছেতেই আমরা
এক এক করে সব বাধা অতিক্রম করে স্বল্প পুঁজি,বুক ভরা ভক্তি, শ্রদ্ধা আর আশা নিয়ে আপনাদের সকলের
জন্য পুজোর কটাদিন অপেক্ষা করবো।